বিদেশে জীবনযাত্রা

বিদেশে জীবনযাত্রা ও দূর্ঘটনা এবং মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ

বিদেশে চাকরির পূর্ব প্রস্তুতি মানেই বাইরের দেশে ভাল একটি চাকরির সন্ধান। তাই, চাকরি খোঁজার বিশ্বস্ত ওয়েব সাইট “বিদেশ জবস্” ব্যবহার করে খুঁজুন আপনার পছন্দের চাকরি এবং নিয়ে নিন বিদেশে চাকরির পূর্ব প্রস্তুতি। পছন্দের চাকরির দেখা মিললেই দেরি না করে সেরে নিন বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক কাজ সমূহ (নাম নিবন্ধন, নাগরিক ও জন্ম সনদ তৈরি ইত্যাদি)। যাবতীয় সব কাজ হয়ে গেলে জেনে নিতে হবে বিদেশে যাওয়ার সময় যাত্রাপথে করনীয় কাজ সমূহ এবং বিদেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে করনীয় সম্পর্কে। এছাড়াও, কর্মজীবি হয়ে বিদেশের পথে পাড়ি দিতে অবশ্যই জানতে হবে বিদেশে জীবনযাত্রা ও দূর্ঘটনা এবং মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে।


০১ বাসস্থান

কাজের জন্য বিদেশে গেলে থাকার ব্যবস্থা সম্পর্কে আগেই জেনে নিতে হয়। কারণ এক এক স্থানে কাজের ধরণ ভেদে এক এক রকমের থাকার ব্যবস্থা থাকে। কোথাও ক্যাম্পিং করে থাকতে হয় আবার কোথাও কর্মস্থান থেকেই থাকার ব্যবস্থা থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বাসা ভাড়া করেও থাকতে হয়। তাই বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার আগেই নিয়োগকর্তা অথবা নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে থাকার ব্যবস্থা সম্পর্কে জেনে নিতে হয় এবং বুঝে শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হয়।


০২খাদ্য ব্যবস্থা

যে যেখানেই যাই না কেন প্রথমেই সবার মাথায় আসে খাবার কেমন! কি খাব? খাবার কোথায় পাবো? এর কারণ বাঁচতে হলে খেতে হবে, খাদ্যই যে জীবনের মূল চালিকা শক্তি। নিয়মিত পরিমাণ মত খাবার না পেলে কাজ করার শক্তি, সামর্থ্য কিছুই পাওয়া সম্ভব না। তাই খাবার ব্যবস্থা সম্পর্কে নিতে হবে পূর্ণ ধারণা। অনেক স্থান আছে যেখানে নিয়মিত ভাত খাবার সুযোগ থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খেতে হয় রুটি। আবার অনেক নিয়োগকর্তা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন অথবা খাবারের জন্য টাকা দিয়ে দেন। এজন্য খাবার সম্পর্কেও কথা বলে নিতে হবে নিয়োগদাতার সাথে। এছাড়া, অনেক সময় কোম্পানির দেয়া খাবার অনেকের খেতে ভাল লাগে না, সেক্ষেত্রে তারা নিজেরাই রান্না করে থাকেন।


০৩ চিকিৎসা

চুক্তিপত্র অনুযায়ী নিয়োগকর্তা কর্তৃক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্মীদের বহন করতে হয় চিকিৎসার খরচ। বিভিন্ন দেশে সাধারণত সরকারি হাসপাতালগুলো হেলথ-কার্ডের মাধ্যমে সুলভে অভিবাসী শ্রমিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকে। তাই প্রথমেই এ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদী রোগ থাকলে অবশ্যই (যেমন- হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি) দেশ থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে যেতে হবে কারণ বিদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া প্রয়োজনীয় ঔষধ কিনতে পারবেন না। আর কিছু সাধারণ সমস্যার ঔষধ (মাথা ব্যথা, জ্বর, ডায়রিয়া, স্যালাইন, ব্যান্ডেজ, মলম ইত্যাদি) সাথে রাখা উচিত।


০৪ দূর্ঘটনা এবং মৃত্যু ক্ষতিপূরণ

বিদেশে দূর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ এবং যে কোন সমস্যায় সহায়তার জন্য অবশ্যই বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। আর যেকোনো সমস্যায় অবশ্যই অভিবাসী কমিউনিটি বা অন্য শুভাকাঙ্খী সহকর্মীর সাথে আলোচনা করতে হবে ও তাদের সব কিছু ভাল ভাবে জানাতে হবে। এছাড়া, বিদেশে যদি মানবাধিকার বা উন্নয়ন সংস্থা অথবা এনজিও থাকে তবে সেখানেও যোগাযোগ করা যাবে। আর নিজের কর্মস্থানেও নিয়োগকর্তার সাথে কথা বলে নিতে হবে যে তারা এ ধরণের কোন সমস্যায় সহায়তা করবে কি না। এছাড়া মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে, মৃত্যুবরণকারী কর্মীর নিয়োগকর্তা/অন্য কোন সংস্থা/ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান হতে মৃতের মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তাই এ বিষয়েও আগেই জেনে নেয়া উচিত। আর বকেয়া বেতন, সার্ভিস বেনিফিট ও ইন্স্যুরেন্সের টাকা বাকি থাকলে অনেক কোম্পানিতে তা আদায় করে মৃতের পরিবারকে যথাযথভাবে দিয়ে দেয়া হয়। তাই এই সব পলিসি সম্পর্কে নিয়োগদাতা এবং যারা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় তাদের সাথে কথা বলে নিতে হয়।


উপরিউক্ত নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই বিদেশে চাকরি এবং চাকরি সম্পর্কিত সব কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন, কোন প্রকার ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই।